চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফজলে করিমসহ দুজনকে আটক করে বিজিবি।
আটকের পর বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে ফজলে করিম জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার ভুল হয়েছে।
ফজলে করিমকে ভারতে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগে মো. আব্দুল হান্নান নামে একজন ও পাচারকাজে জড়িত নাঈম চৌধুরী নামে আরো একজনকে আটক করা হয়। বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সূত্র জানায়, ওই তিনজনকে সকাল ৭টার দিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের সীমানার ২০ গজ ভেতর থেকে আটক করা হয়। আটককৃত সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট (লাল), নগদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা, একটি আইফোন, একটি রিয়ালমি ফোন, দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড (স্মার্ট ও পুরাতন) এবং ছবি ও ওষুধসহ অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পালানোর কাজে সহযোগিতাকারীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, নগদ ২৩৯০ টাকা এবং মানব পাচারকারীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৩০ টাকা জব্দ করা হয়।
বিজিবির সূত্রটি আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, মানব পাচারকারী মো. নাঈম ভারতে প্রবেশ করিয়ে দেবে বলে মোবাইল ফোনে জানায়। এ অবস্থায় ফজলে করিম ঢাকা থেকে বাসযোগে আখাউড়ায় আসেন। পরে মো. হান্নান নামে আরেকজন তাকে সহযোগিতা করেন।
একাধিক সূত্র জানায়, বড় অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে ফজলে করিমকে ভারতে পাঠানোর চুক্তি করে নাঈম। এরই ধারাবাহিকতায় ফজলে করিমকে আখাউড়ায় আসতে বলা হয়। পুলিশ ও বিজিবি বিষয়টি আগে থেকেই জানতে পেরে সতর্ক অবস্থান নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে তিনজনকে আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান জানান, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ‘তালিকাভুক্ত’ একাধিক ব্যক্তি পালাতে পারেন বলে বুধবার খবর আসে।
যে অনুযায়ী মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের কেউ আখাউড়ার আশপাশে আছে বলে ধারণা পাওয়া যায়। বিষয়টি বিজিবিকেও অবহিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবির অভিযানে চট্টগ্রামের সাবেক ওই সংসদ সদস্য আটক হন।
এর আগে একাধিক ‘তালিকাভুক্ত’ ব্যক্তি আখাউড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
Leave a Reply