পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন এবং নিজের স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কিছু মানুষ থাকে। যারা পরিবারের সদস্য না হলেও একটি সুখী পরিবরা গড়ে তোলার জন্য ভূমিকা রাখে। গুরুত্বপূর্ণ সেই মানুষদের মধ্যে শ্বশুর-শাশুড়ি অন্যতম। এ জন্য নিজের কাছে শুধু তারা ইতিবাচক হলেই হবে না, তাদের মনেও আপনার প্রতি ইতবাচক ধারণা তৈরি হতে হবে।
অনেকেই আছেন যাদের সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির সম্পর্ক মোটেও ভালো নয়। কারও ক্ষেত্রে আবার সম্পর্ক থাকলেও তা গভীর নয়। ফলে আত্মীয়তার সম্পর্কে অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু আপনি চাইলেই সেই সম্পর্ক অনেক ইতিবাচক ও শক্তিশালী করে তুলতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার তাহলে শ্বশুর-শাশুড়ির মন জয় করার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক।
বোঝাপড়া ও সহানুভূতি: শ্বশুরবাড়ির মানুষের মন পাওয়ার জন্য প্রথমেই সবার সঙ্গে আপনার বোঝাপড়া ভালো হতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে সহনশীল আচরণ থাকতে হবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধা ও প্রত্যাশা ভালোভাবে বোঝার জন্য কিছুটা সময় নিন। পরিবারের সবাইকে প্রাপ্ত সম্মান করুন। তাদের প্রতি আগ্রহ দেখান এবং খোলা মনোভাব বজায় রাখুন। সম্পর্ক এমনিই ভালো হবে।
নিয়মিত যোগাযোগ করা: শ্বশুরবাড়ির মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। কখনো কেউ কোনো প্রয়োজনে ফোন করলে ব্যস্ততার জন্য মুহূর্তে সাড়া দিতে না পারলেও পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনিও মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে কথা বলুন। যাওয়া-আসা অব্যাহত রাখুন। তাদের কোনো কাজে সহায়তা করলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।
শ্বশুরবাড়ির রীতিকে সম্মান করা: প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি রয়েছে, যা তাদের গর্বের কারণ। সাংস্কৃতিক সেসব অভ্যাসকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের সবার সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে হবে। পরিবারের সবার সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে হবে। পারিবারিক যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিন। এসব আপনার বন্ধনকে আরও মজবু করবে।
সাহায্য-সহযোগিতা করা: প্রতিটি মানুষের জীবনেই উত্থান-পতন আসে। সেদিক থেকে কারও দুঃসময় আসতেই পারে। এ অবস্থায় মানসিক এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে আপনার। নিজের সাধ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করুন। মানসিক সমর্থনের প্রয়োজন হলে মনোযোগ সহকারে তাদের সমস্যা শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন এবং প্রয়োজনে কার্যকর কোনো সমাধান বের করতে পারলে করুন। ছোট ছোট এসব কাজ আপনার প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেয়া: নিজ পরিবারের মতো শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও পারিবারিক ভ্রমণ, ছুটি বা বাড়িতে জমায়েতের পরিকল্পনা করুন। ছোট ছোট আয়োজনে তাদের আমন্ত্রণ জানান। এতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
সম্পর্কে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখা: শ্বশুরবাড়ির অধ্যায়ে জড়িত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাদের সঙ্গে এমন কিছু করা যাবে না যা তাদের আঘাত করে বা কষ্ট দেয়। তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কখনো হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। এদিকে সীমাবদ্ধ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
Leave a Reply