বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়ির সামনে দুই দিন ধরে অনশন করছেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম রানা (৩২), যিনি ওই এলাকার মনসুর হোসেনের ছেলে এবং অনশনরত নারীর দূর-সম্পর্কের চাচার বউ। ওই নারী দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে ওই নারী রানার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনশনরত নারীকে মারধর করে ২০ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ও প্রমাণ নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে অভিযুক্ত রানা ও তার পরিবার। এর আগে রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচি দুই সন্তানের জননী রুমানা আক্তারের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে চার বছর আগে ওই নারীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
বিচ্ছেদের চার বছর পর দুই সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে ভাতিজা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
অনশনরত নারীর অভিযোগ, ‘রানা আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখন সে কথা অস্বীকার করছে। আমাদের সম্পর্কের কারণে আমার আগের সংসার ভেঙে গেছে।
আমি প্রথমে সম্পর্ক করতে চাইনি, কিন্তু রানা আমাকে হুমকি দিয়েছিল যে যদি সম্পর্ক না করি তবে আমার সংসার নষ্ট করবে। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এখন যদি রানা আমাকে বিয়ে না করে, তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘রানা আমার জীবন ধ্বংস করেছে। এখন আমার পরিবারও আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
আমার আর কোনো যাওয়ার জায়গা নেই। আমি বিয়ের দাবিতে অনশন করছি এবং রানার সঙ্গে সংসার করতে চাই।’
এই বিষয়ে রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম অবস্থায় এই বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করেন। ওই নারীর মোবাইলে থাকা ছবির কথা জানালে সেগুলো এডিট করা বলেও দাবি করেন। এক পর্যায়ে প্রেমের বিষয়টা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীকে বিয়ে করতে পারব না। এর জন্য যদি ফাঁসি হয় হবে।’
এ বিষয়ে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি, একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছেন। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বা প্রমাণ থাকে ছেলের জন্য বিয়ে করাই উচিত হবে।’
Leave a Reply