আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। গত মার্চে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন এফএ। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের কংগ্রেসে আলোচনা হয়েছে এ বিষয়ে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে শুক্রবার (১৭ মে) ফিফা কংগ্রেসে হবে ভোট।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে স্মরণ করেছে এএফসি কংগ্রেস। ইসরায়েলি বর্বরতায়, গত আট মাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনে এবার সোচ্চার এএফসিও।
আলজেরিয়া, জর্ডান, সিরিয়া ও ইয়েমেন ফেডারেশনের সমর্থন নিয়ে গত মার্চে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ফিফায় চিঠি দিয়েছিল ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন। যেই আবেদনকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছে এএফসি।
এএফসির সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা বলেছেন, এএফসি এবং ফিফা তাদের সদস্য রাষ্ট্রের মতোই শক্তিশালী। যখন একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন বাকিদের উপরও তার প্রভাব পড়ে। তাই এএফসি, ফিলিস্তিন এফএ-এর সাথে ঐক্যমত পোষন করছে। এবং ফিফার নিয়ম ও আইনের মধ্যে থেকে ফিলিস্তিনের ফুটবল যেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার স্থায়ী সমাধান চায়।
গাজায় ফুটবলার, কোচ ও কর্মকর্তাদের মৃত্যুর খবরসহ খেলার মাঠ ও বিভিন্ন স্টেডিয়াম ধংসের ভিডিও দেখিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ফিফা কংগ্রেসে বিষয়টি গড়াচ্ছে ভোটা-ভোটিতে। শুক্রবার ৭৪ তম বার্ষিক সভা থাইল্যান্ডে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ফিলিস্তিনে আজ যা চলছে তাতে আমরা সবাই ভুগছি। আমরা দূর থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা প্রার্থনা করি বিশ্বের সকল নির্যাতিত শিশুর জন্য। যদিও এ বিষয়ে ফুটবল খুব অল্প কিছুই করতে পারে। তবে ফুটবল সবাইকে একত্রিত করতে পারে।
ইসারায়েলের নিষেধাজ্ঞার দাবি আরও জোড়ালো হয়েছে, প্রথমবার ফিলিস্তিন নারী দলের ইউরোপ ভ্রমনে। আয়ারল্যান্ডের সাথে খেলেছে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। যেখানে গ্যালারি মুখরিত ছিল ফিলিস্তিন মুক্তির স্লোগানে।
Leave a Reply