নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।. সেখানে মঙ্গলবার ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজে’ বক্তৃতা শেষে তিনি মাহফুজ এবং দুই সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলীকে ডেকে পরিচয় করিয়ে দেন।
মাহফুজ আলমকে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমন্ত্রিত হন মাহফুজ। ইউনূসকে বিপ্লবের স্থপতি বলা হয়।
মাহফুজ আলম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যোগাযোগ কমিটির সমন্বয়ক। যিনি মাহফুজ আবদুল্লাহ নামেও পরিচিত। আন্দোলনে আড়ালে থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি পরিচিত। বর্তমানে তিনি প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূসের বিশেষ সহকারী মো.
ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের কাছে বর্ণনা করেন কীভাবে বিগত সরকার ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা করেছিল এবং কীভাবে ছাত্ররা তাজা বুলেটের সামনে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এক সময় তিনি নতুন বাংলাদেশের কথা শুরু করেন। বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা বলতে গিয়ে তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি এখানে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে কথা বলে এরকম কথা আমি কখনো শুনিনি। তারা নতুন পৃথিবী, নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুত। প্লিজ আপনারা তাদের হেল্প করবেন। যেন তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এ গুরু দায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে।’
এ সময় তিনি বিল ক্লিনটনের হাত ধরে বলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে আছেন এ স্বপ্ন পূরণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদেরকে দেখতে অন্য তরুণদের মতো মনে হলেও আপনি যখন তাদের কাজ দেখবেন, বক্তব্য শুনবেন, আপনিও অবাক হবেন। তারা সারাদেশ নাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক কিছু হয়েছে, কিন্তু তারা তাদের বক্তব্য, ত্যাগ কিংবা কমিটমেন্ট থেকে পিছিয়ে যায়নি। তাদের বক্তব্য, ‘আপনারা চাইলে আমাদের হত্যা করতে পারেন, কিন্তু আমরা পথ ছেড়ে যাব না’।’
এ সময় মাহফুজকে এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ-অভুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ। যদিও মাহফুজ সব সময় বলে, সে নয় আরও অনেকে আছেন। যদিও সে গণ-অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা হঠাৎ করে হয়েছে এমন কিছু নয়। খুবই গোছানো আন্দোলন। এছাড়া এত বড় আন্দোলন হয়েছে মানুষ জানতো না কে আন্দোলনের লিডার! যার ফলে একজনকে আটক করা যেত না। বলাও যেত না যে, একজনকে আটক করলে আন্দোলন শেষ।’
মাহফুজকে দেখিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘তার কথা শুনলে সারা পৃথিবীর যেকোনো তরুণ অনুপ্রাণিত হবে। তারা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবে। তাদের সফলতার জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন। তাদের জন্য হাত তালি হোক।’
এ সময় বিল ক্লিনটনসহ সবাই হাততালি দিয়ে সম্মান জানান।
Leave a Reply