টেক্সটাইল কর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশে গত ৫ আগস্ট ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ২৮তম জবানবন্দিতে সাকিব আল হাসানকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রুবেল খুনের সময় সাকিব কানাডায় ছিলেন। সে সময় তিনি কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছিলেন। এমনকি গোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাকিবও দেশে ছিলেন না। তাই শাকিবের বিরুদ্ধে এই মামলার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
সে সময় একজন আইনজীবী সাকিবকে একটি হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বিসিবির কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। তখন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, সাকিব আদালতে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তার খেলায় কোনো বাধা নেই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তখন অন্তর্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘সাকিবের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হয়েছে। তারপরও এটা পুলিশ-প্রশাসনের ব্যাপার। আমরা যতটুকু বলার, বলার চেষ্টা করেছি। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানে তো গ্রেপ্তার না। আমার বিশ্বাস, আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়।’
আবারও সাকিবের গ্রেপ্তার বিষয়ে কথা বলেছেন আসিফ নজরুল। গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবের মামলা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মামলার কারণে সাকিব কিংবা জায়েদ খান; তাদের কারো সঙ্গে কি গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে? ঘটেনি। আমরা বারবার মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমরা পুলিশকে বলেছি, ‘‘আপনারা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, মামলাতে আপনি যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্বাসযোগ্য কি না।’’ পুলিশের কাছ থেকে এবং আদালতের কাছ থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি, যারা মামলা করতে আসেন, সেখানেও (পুলিশের ওপর) চাপ থাকে।’
‘সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা ব্যক্তি করেছে, সরকার করেনি বলেও মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা, ‘যখন কেউ মামলা করে, মামলা করাটা মানুষের অধিকার। ব্যক্তিগতভাবে একজন মামলা করে দিলো। এই মামলাগুলো পুলিশ করেনি, পুলিশ যদি করে তাহলে বুঝবেন এটার সঙ্গে রাষ্ট্র জড়িত আছে। এ মামলাগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা হয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা জিনিস সবাইকে বলার চেষ্টা করেছি, এফআইআর মানেই গ্রেপ্তার না। কিছু কিছু মানুষ যখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে, এই মামলা তার নামে হওয়ার কথা না। আমরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করি। আমরা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করি যে, পুলিশ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য না পেলে আপনাদের গ্রেপ্তার করবে না।’
Leave a Reply