শেখ হাসিনার অভিযোগ হাস্যকর, বলল যুক্তরাষ্ট্র!

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।

এ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটি হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে আমেরিকা জড়িত ছিল- এমন ধারণা একেবারেই মিথ্যা।

তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক সপ্তাহে অনেক বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা ডিজিটাল ইকোসিস্টেমজুড়ে তথ্যের অখণ্ডতা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে।

হোয়াইট হাউসও সোমবার একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে জানায়, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। তারা এ ধরনের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে অভিহিত করে।

এর আগে ভারতীয় পত্রিকা ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করে, শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ পেতে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তবে হোয়াইট হাউস এ অভিযোগকে মিথ্যা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে যুক্তরাজ্য এ ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। এ ছাড়া শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হওয়ার গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *