আ.লীগের এই করুণ পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাই দায়ী: ডা. জাহিদ হোসেন!

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান করুণ পরিণতির জন্য শেখ হাসিনা নিজেই দায়ী। স্বৈরাচার এদেশের মানুষের ওপর পাথরের মতো চেপে বসে ছিল। অবশেষে তাকে (শেখ হাসিনা) পালিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে যারা মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করতেছে, তাদের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ডা. জাহিদ।

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেন, এ সরকারকে সহযোগিতা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আজকে যারা মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করতেছে, তাদের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দেশ থেকে একজন পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা দেশে রয়ে গেছে। তাদের হাতে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠিত টাকা আছে। তাদের হাতে আইনি- বেআইনি অস্ত্র আছে। তারা সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সেজন্য আমাদেরকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অন্যায়কারী, দুর্বৃত্তকারী ও সুবিধাবাদীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

আওয়ামী লীগকে এদেশের বৃহত্তম মানুষ দেখতে পারেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো এদেশের বৃহত্তম মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে না। স্বৈরাচার এদেশের মানুষের ওপর পাথরের মতো চেপে বসে ছিল। অবশেষে তাকে (শেখ হাসিনা) পালিয়ে যেতে হয়েছে। কি করুণ পরিণতি হলো একটি রাজনৈতিক আদর্শের। রাজনৈতিক দলের। আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতির জন্য শেখ হাসিনা নিজে দায়ী।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, সব জঞ্জাল, সব দুর্নীতির চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ঘুস ছাড়া চাকরি হতো না। টাকা ছাড়া কিছুই হতো না। এর থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখন বন্যায় প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮ জনের অধিক মানুষ মারা গেছে। এই বন্যা প্রাকৃতিক হলেও এর মধ্যে কিছুটা মনুষ্য সৃষ্টও ছিল।

নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ের সহসম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *