খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে যা বললেন মামুনুল হক!

খুলনা সদর থানাধীন ডাকবাংলো মোড়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মোদীবিরোধী আন্দোলন ও শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলন, পিলখানাসহ সব শাহাদাতবরণকারীদের মাগফেরাত কামনা ও হত্যাকারীদের বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা এবং সবার ক্ষতিপূরণের দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শারাফাত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী।

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক ও খুলনা মহানগর শাখা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মহিবুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খুলনা জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান। এছাড়াও খুলনা মহানগর, জেলাসহ আশপাশ জেলার বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আল্লামা মামুনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আমাদের দেশ ও জাতির বুকের পাথর একবিংশ শতাব্দীর স্বৈরাশাসক জগদ্দল পাথর আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। বিজয় অর্জন করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন তার মাগফেরাত কামনা ও বিজয়ের জন্য সব মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন তাদের জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করছি। সেইসঙ্গে স্মরণ করছি ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে, স্মরণ করছি ২০১৩ সালে গুলি করে হত্যা করা হেফাজতের নেতাকর্মীদের, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে যুদ্ধ অপরাধী বানিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া, স্মরণ করছি ২০২১ সালে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদিকে আগমনের প্রতিবাদ মিছিলে গুলি করে হত্যা করা শহিদদের। সংগ্রামী খুলনাবাসী আপনাদেরকে বলতে চাই বিজয়ের মাসে বিজয় অর্জন করা যত কঠিন তা রক্ষা করা তার চেয়েও কঠিন।

তিনি বলেন, আমাদের বঞ্চনার সময় দীর্ঘ। আমাদেরকে বঞ্চনা করা হয়েছে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চনা করা হয়েছে। ভারতকে বলতে চাই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে বন্ধুত্ব পাবে, প্রভুত্ব করতে আসলে চরম হুঁশিয়ারি পাবে। অতীতের নেতৃত্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এই বিপ্লব ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে করতে ওত পেতে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন হওয়ার পর ৭২ সালে টোকেন সিস্টেম দিয়ে আমাদের উপর একটা সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়। এই সংবিধান বাংলাদেশের বর্তমান সমাজের গণমানুষের সংবিধান নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *