ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা ও অপপ্রচার, দাঁতভাঙা জবাব দিলেন বাঁধন!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা, অত্যাচার, গুলি এবং তাদের মৃত্যুর ঘটনায় সংগীত ও শোবিজ তারকারা কথা বলেছেন। অনেক তারকাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি রাজপথে নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতিও জানিয়েছেন অনেক তারকা।

এদেরই একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গত ১ আগস্ট সকালে বৃষ্টির মধ্যেই রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে এক প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। ওই সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে দেশে হত্যা, সহিংসতা, গণপ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং সব হত্যার হিসাব, বিচার, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ ও আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি নিয়ে কথা বলেছিলেন এ অভিনেত্রী।

রাজপথে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কথা বলা অভিনেত্রীর বক্তব্য সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার সেই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ থেকে স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যম মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী বাঁধন।

তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় কিছু ব্যক্তি বাঁধনের বক্তব্য দেয়ার ভিডিও থেকে স্থিরচিত্র পোস্ট করে তাতে সাম্প্রদায়িক ইস্যু উল্লেখ করা হয়েছে। এ অভিনেত্রী নাকি হিন্দু এবং কান্না করতে করতে নাকি বাংলাদেশ ছাড়ার কথা বলছেন। যা কেবলই অপপ্রচার। আর এ নিয়েই কথা বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ফেসবুকে অভিনেত্রী বাঁধন এ ব্যাপারে লিখেছেন, ‘আমার বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যম ও উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীরা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য হলাম। একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে আমার দেশের সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছি, যার ভিডিও শেয়ার করেছি আমি।’

তিনি লিখেছেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং অত্যাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। বক্তব্যে বলেছি যে এটি আমার দেশ, আমরা এটি সংস্কার করতে সহায়তা করব। কিন্তু কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম ও প্রোপাগান্ডা যন্ত্রগুলো সেই বক্তব্যকে অন্যদিকে মোড় দিচ্ছে, মিথ্যা ছড়াচ্ছে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে। এমনকি তারা আমার ভিডিওকে কারসাজির মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যাতে সহজেই ভুল তথ্য ছড়ানো যায়।’

সবশেষ এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি ভারত সরকার ও জনগণকে এ ধরনের অনলাইন সন্ত্রাসবাদ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান করছি। আমরা আমাদের বর্ণনা তাদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে দেব না এবং কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি করতে দেব না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *