কীর্তি গড়ে সব কৃতিত্ব যাকে দিলেন হাসান মাহমুদ!

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে প্রায় এককভাবে গুঁড়িয়ে দেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করে দেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা হাসান রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন। ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই কীর্তি গড়েন হাসান। হাসান এই অর্জনের সব কৃতিত্ব দিয়েছেন তার সহকর্মীদের।

এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন হাসান। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসকে ভালো সমর্থন দেন তিনি। তার ব্যাটিংয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে হার মেনে নেয়নি বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয় থেকে মাত্র ১৪৩ রান দূরে বাংলাদেশ। হাতে ১০ উইকেট।

অথচ, প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ম্যাচটা টেনে এনে এখন জয়ের পথে বাংলাদেশ। যা নিয়ে হাসান বলেন, ‘আসলে শুরুতে দ্রুত উইকেট চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। তখন আমরা আবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছি। সবাই নিজেদের ওপর বিশ্বাস ধরে রেখেছিল। আমরা আমাদের সতীর্থদের ওপর বিশ্বাস রাখছিলাম। আমরা জানতাম, যদি লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে সেট হয়ে রান তুলতে পারে তাহলে ম্যাচের মোমেন্টাম তারা পরিবর্তন করে দিতে পারবে। এটাই হয়েছিল গতকাল।’

ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের অনুভূতি জানিয়ে হাসান বলেন, ‘আসলে আমার সতীর্থদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, যারা প্রতিটি বলের পেছনে অনেক পরিশ্রম করে। পরিকল্পনা আসলে খুবই সিম্পল ছিল। নতুন বল হাতে নিয়ে চেষ্টা করতে হয়েছে লাইন অনুযায়ী বল করে যাওয়া, যেরকমটা অধিনায়ক এবং দল চেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের পরিকল্পনা মতো বল করে উইকেট তোলার চেষ্টা করে যাওয়া।’

দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে হাসান বলেন, ‘আমার ভূমিকার কথা বললে, যখনই কোনো পেসারকে বল দেওয়া হয় তখন পরিকল্পনা থাকে উইকেট নেওয়ার মত বল কীভাবে করা যায়। যত বল করতে পারবে তত সফল হতে পারবে। তাসকিন (আহমেদ) ভাই শুরু করেছিল দিনের প্রথম উইকেট দিয়ে। এরপর (নাহিদ) রানা দুর্দান্ত বল করেছে। হয়তো মোমেন্টামটা আমাদের দিকে শিফট করেছে। এরপর আমাকে বল দেওয়া হল। আমিও আমার প্রসেসে ছিলাম এ জন্যই উইকেটটা পেলাম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *