প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর অবিশ্বাস্যভাবে যা বললেন ফারুকী, সারাদেশে উঠলো আলোচনার ঝড়!

বিশেষ প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সমসাময়িক অনেক বিষয় তার আলোচনায় উঠে আসে। ফারুকী প্রথম থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন। শুধু তাই নয়, স্বৈরাচারী সরকারের (শেখ হাসিনা) পতনের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ক্ষমতার পালাবদল নিয়েও কথা বলছেন তিনি।

এদিকে গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ফারুকী। তার পোস্টে বাংলাদেশে নতুন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবার প্রতিনিধিত্ব করছেন স্মরণ করিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘প্রফেসর ইউনুসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইনক্লুসিভনেসের। আজকে তাকে মনে হয় নাই উনি কেবল একটা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা এই মুহূর্তে আমার বিবেচনায় সিগনিফিক্যান্ট কারণ আমি গত কিছুদিন অনুভব করছিলাম মানুষের একতার স্পিরিটটা একটু আলগা হয়ে আসছে।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘যেদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের বের করে দিয়েছিল হাসিনা, সেদিন থেকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, বিএনপি, বাম দল, জামাতসহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিণী, অভিভাবকসহ সবাই যে স্পিরিট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সেই স্পিরিটই ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটায়। এই স্পিরিটটা আমি বন্যা পর্যন্ত দেখেছি। সবাই তখন দেশটা ওউন করছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। কেমন সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ হতে শুরু করল।’

বিভাজনের খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই। ফলে আমাদের খোলাখুলি বলা উচিত এই ছন্দপতন শুরু হয় আন্দোলনের কৃতিত্ব এবং মাস্টারমাইন্ড বিষয়ক বিতর্কে। সময় এসেছে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকা। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ বাদে সবাই। বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন। মনে রাখবেন, বিপ্লব সফল হয় অন্তর্ভুক্তিতে। বিপ্লব ঝুঁকিতে পড়ে বিভক্তিতে।’

সবশেষ নির্মাতা লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বাদে যারা আছেন তারা একে অন্যকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে জনতার কাছে যান। জনতা যাদের ভোট দিবে তারা সরকার গঠন করবেন। যারা ভোট কম পাবেন তাদেরও ভূমিকা থাকা উচিত নতুন সহনশীল বাংলাদেশ নির্মাণে। এই মুহূর্তে আক্রমণ, আক্রমণ খেলা সবাই বন্ধ করা জরুরি। যারা রাজনৈতিক দলে আছেন অলরেডি এবং যারা দল করবেন- দুই পক্ষেরই। এবং সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনকে সাহায্য করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *